জি-২০ সম্মেলন : গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, কর্মসংস্থান ও এআই নিয়ে আলোচনা
দক্ষিণ আফ্রিকায় চলমান জি-২০ সম্মেলনের শেষ দিনে আজ রোববার (২৩ নভেম্বর) বিশ্বনেতারা গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ খনিজ (রেয়ার আর্থ), কর্মসংস্থান সংকট এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা ‘সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই ভবিষ্যৎ: গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, সম্মানজনক শ্রম ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ শীর্ষক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন পরিচালনা করেন। খবর আনাদোলুর।
এর আগে শনিবার (২২ নভেম্বর) জি-২০ নেতারা দুটি অধিবেশনে অংশ নেন। প্রথমটি ছিল অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি—যেখানে অর্থনীতি গঠন, বাণিজ্য, উন্নয়ন অর্থায়ন ও ঋণের বোঝা নিয়ে আলোচনা হয়। দ্বিতীয় অধিবেশন ‘একটি সহনশীল বিশ্ব—জি-২০–এর অবদান’ ছিল দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন, ন্যায়ভিত্তিক জ্বালানি রূপান্তর ও খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে।
দক্ষিণ আফ্রিকার সভাপতিত্বে আফ্রিকা মহাদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এ শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল ‘সংহতি, সমতা ও টেকসই উন্নয়ন’। যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতিতেই সম্মেলনের যৌথ ঘোষণা গ্রহণ করা হয়।
ঘোষণায় বলা হয়, ‘জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য ও নীতিমালার আলোকে আমরা সুদান, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ও ইউক্রেনে ন্যায়সঙ্গত, বিস্তৃত ও স্থায়ী শান্তির জন্য কাজ করব।’
দক্ষিণ আফ্রিকার স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শেষ হওয়ার কথা।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াই শুরু হয় সম্মেলন
শনিবার সম্মেলন শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতিতে, যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই দক্ষিণ আফ্রিকার পরবর্তী জি-২০ সভাপতি—এ কারণে সাধারণত নেতৃত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান হবে।
সপ্তাহের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট রামাফোসা বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারে—যা হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিকভাবে অস্বীকার করে।
সম্মেলনের ফাঁকে দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোনাল্ড লামোলা জানান, যুক্তরাষ্ট্র তার দক্ষিণ আফ্রিকা দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের মাধ্যমে নেতৃত্ব হস্তান্তর করতে চেয়েছিল। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী হস্তান্তর রাষ্ট্রপ্রধান বা তার মনোনীত উচ্চপর্যায়ের মন্ত্রীর মাধ্যমেই করতে হয়। তাই হস্তান্তর প্রক্রিয়া সোমবার (২৪ নভেম্বর) ডিরকো কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
মানবাধিকার অভিযোগে অংশ নেননি ট্রাম্প
মাসের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, তিনি কোনো মার্কিন প্রতিনিধি জোহানেসবার্গে পাঠাবেন না। তিনি অভিযোগ করেন, দক্ষিণ আফ্রিকা দেশে শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানার জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ করছে—যা দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
সম্প্রতি পররাষ্ট্রনীতি ও অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে মতবিরোধের কারণে ওয়াশিংটন–প্রিটোরিয়ার সম্পর্ক ইতিহাসের সবচেয়ে নিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক