বাবা-ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন, মরদেহকে বিয়ে করলেন তরুণী
ভারতের মহারাষ্ট্রের নান্দেদে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে পরিবারের হাতে নৃশংসভাবে খুন হওয়া প্রেমিকের মরদেহকেই ‘বিয়ে’ করেছেন প্রেমিকা। নৃশংসভাবে পিটিয়ে, গুলি করে ও পাথর দিয়ে মাথা চূর্ণ-বিচূর্ণ করে মারা হয়েছিল ২০ বছর বয়সী যুবক সক্ষম টেটকে। কিন্তু তার শেষকৃত্যের সময় তার প্রেমিকা আঁচল সাহসের সঙ্গে টেটের কপালে সিঁদুর পরিয়ে দেন এবং পুত্রবধূ হিসেবে তার বাড়িতে থাকার শপথ নেন। খবর এনডিটিভির।
আঁচল তার ভাইদের মাধ্যমে সক্ষম টেটের সঙ্গে পরিচিত হন। টেটের বাড়িতে ঘন ঘন যাতায়াতের মাধ্যমেই তাদের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। তিন বছর ধরে তাদের এই সম্পর্ক চলতে থাকে। তবে সম্প্রতি তাদের ভালোবাসার ওপর নেমে আসে পারিবারিক চাপ। জাতের পার্থক্যের কারণে আঁচলের পরিবার তাদের সম্পর্ক মানতে পারছিল না। অসংখ্য হুমকি দিয়েছিল টেটকে। এতকিছুর পরেও আঁচল টেটের সঙ্গে তার সম্পর্ক অব্যাহত রেখেছিলেন।
আঁচলের ভাই ও বাবা যখন জানতে পারেন, তিনি টেটকে বিয়ে করতে চলেছেন, তখন তারা হিংস্র হয়ে ওঠেন। গত বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) তারা টেটকে মারধর করেন, মাথায় গুলি করেন ও পাথর দিয়ে মাথা চূর্ণ করে নৃশংসভাবে হত্যা করেন।
টেটের শেষকৃত্য যখন চলছিল, তখনই আঁচল তার বাড়িতে পৌঁছান। তীব্র আবেগে তিনি নিজের শরীরে হলুদ, আর প্রেমিকের কপালে সিঁদুর মেখে তার মৃত প্রেমিক টেটের দেহকে ‘বিয়ে’ করেন। এরপর তিনি দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা করেন, তিনি তার স্ত্রী হিসেবে টেটের বাড়িতেই বাকি জীবন কাটাবেন।
শোকে পাথর হয়েও দৃঢ় কণ্ঠে আঁচল বলেন, ‘আমাদের ভালোবাসা জয়ী হয়েছে, এমনকি সক্ষমের মৃত্যুতেও, আর আমার বাবা ও ভাইয়েরা হেরে গেছে।’ তিনি টেটের খুনিদের মৃত্যুদণ্ড দাবি করে বলেন, টেট মারা গেলেও তার ভালোবাসা এখনও বেঁচে আছে, তাই তিনি তাকে বিয়ে করেছেন।
এই ঘটনায় পুলিশ বিভিন্ন ধারায় ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাদের গ্রেপ্তার করেছে।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক