ইতিহাস গড়ে দেশে ফিরল অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দল
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ধাপে ধাপে সফল্যের সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠছে। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে তারা এখন এশিয়ার মঞ্চে লড়াই করবে। সেখানে ভালো করলে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগটাও আসতে পারে। দেশের ফুটবলে তাই তাদের নিয়ে উচ্ছ্বাসটা যেনো একটু বেশিই। মূল দলের পর প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দল। ইতহাস গড়ে ফেরা দলটি গতকাল সোমবার (১১ আগস্ট) রাতে দেশে ফিরেছে।
সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে লাওস থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছায় আফঈদা-সাগরিকারা। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আফঈদাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন এএফসি কাউন্সিল সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নারী উইংয়ের চেয়ারপারসন মাহফুজা আক্তার কিরণসহ বাফুফের নির্বাহী কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্য। বাফুফের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট দিয়েও বিষিয়টি জানিয়েছে তারা।
এক মাসের ব্যবধানে এশিয়ার মঞ্চে কোয়ালিফাই করেছে বাংলাদেশের দুটি দল। দুই দলের সাফল্যেই জড়িয়ে আছে দুটি নাম, অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার ও কোচ পিটার বাটলার। বয়স কম হওয়ায় জাতীয় দলের পাশাপাশি অনূর্ধ্ব-২০ দলের অধিনায়কও তিনি। মূল দলের পাশাপাশি এই দলেরও দায়িত্বে ছিলেন পিটার বাটলার।
লাওসে বাছাইপর্বে দারুণ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের হারিয়েছিল ৩-১ গোলের ব্যবধানে। দ্বিতীয় ম্যাচে পূর্ব তিমুরকে ভাসিয়েছিল গোল বন্যায়। জয় পেয়েছিল ৮-০ গোলে। দুই ম্যাচ শেষে গ্রুপের সেরা দল ছিল বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ড্র করলেই হতো।
কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ৬-১ গোলের বড় ব্যবধানে হেরে অপেক্ষা বেড়ে যায় আফঈদা-সাগরিকাদের। সেই অপেক্ষা দীর্ঘ হয়নি। অন্য গ্রুপে চীনের কাছে লেবানন বড় ব্যবধানে হেরে যাওয়ায় সেরা তিন রানার্সআপ দলের মধ্যে থেকে এশিয়ান কাপ খেলা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
২০২৬ সালের ১-১৮ এপ্রিল থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপের আসর। টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে ১২টি দল।
টুর্নামেন্টের মূলপর্বে অংশ নিচ্ছে থাইল্যান্ড (আয়োজক), উত্তর কোরিয়া (বর্তমান চ্যাম্পিয়ন), দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ভিয়েতনাম, ভারত, জাপান, উজবেকিস্তান, জর্ডান, বাংলাদেশ, চাইনিজ তাইপে।

স্পোর্টস ডেস্ক