বিসিবি নির্বাচন ২০২৫: কে কত ভোট পেয়ে নির্বাচিত হলেন

অনেক আলোচনা-সমালোচনা আর বিতর্কের মধ্যেই শেষ হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ২০২৫ সালের পরিচালক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। আজ সোমবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলেছে ভোট গ্রহণ। এরপর পরিচালক পদের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
তিনটি ক্যাটাগরিতে ই-ভোট ও সরাসরি- উভয় মাধ্যমে ভোট দেন ভোটাররা। তবে পুরো নির্বাচন জুড়ে ছিল এক ধরনের নিষ্প্রাণতা। কারণ, বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রার্থী সরে দাঁড়ানোয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল খুবই সীমিত। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যান প্রার্থীরা।
ঢাকার ক্লাবভিত্তিক ক্যাটাগরি-২ এ মোট ভোটার ছিলেন ৭৬ জন। এই ক্যাটাগরি থেকে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। ভোট দিয়েছেন মাত্র ৪৩ জন। এর মধ্যে ৩৪ জন ই-ভোট দিয়েছেন এবং ৯ জন সরাসরি এসে ভোট দিয়েছেন। বাকি ৩৩ জন ভোট দেননি।
ক্যাটাগরি-২ থেকে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ৪২ ভোট পেয়েছেন তিনজন। তারা হলেন, ইসতিয়াক সাদেক (ধানমণ্ডি স্পোর্টস ক্লাব), শানিয়ান তানিম নাভিন (ঢাকা মেরিনার ইয়াংস ক্লাব), ফারুক আহমেদ (রেঞ্জার্স ক্রিকেট একাডেমি)।
৪১ টি করে ভোট পেয়েছেন আমজাদ হোসেন (ঢাকা স্পারটান্স ক্রিকেট ক্লাব), মো. মোখছেদুল কামাল (গোল্ডেন ঈগলস স্পোর্টিং ক্লাব) ও মেহরাব আলম চৌধুরী (যাত্রাবাড়ি ক্রীড়া চক্র) ।
৪০টি করে ভোট পেয়েছেন আদনান রহমান দীপন (রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব), ফায়জুর রহমান (উত্তরা ক্রিকেট ক্লাব) ও আবুল বাশার (প্রাইম ধলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব)।
এছাড়া ৩৯ টি ভোট পেয়েছেন মো. মনজুর আলম (রেগুলার স্পোর্টিং ক্লাব), ৩৭ ভোট পেয়েছেন এম নাজমুল ইসলাম (ট্যালেন্ট হান্ট ক্রিকেট একাডেমি) ও ৩৪ ভোট পেয়েছেন ইফতেখার রহমান মিঠু।
ক্যাটাগরি ৩-এ (বিশেষ সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সার্ভিসেস দল) একটি পরিচালক পদের বিপরীতে লড়াই করেছেন দুইজন। ৪৫ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৪২ জন। এর মধ্যে পাঁচ জন ই-ভোট দিয়েছেন এবং ৩৭ জন উপস্থিত থেকে ভোট দিয়েছেন। এই ক্যাটাগরিতে তিনজন ভোট দেননি। যেখানে সর্বোচ্চ ৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন খালেদ মাসুদ পাইলট। তার প্রতিদ্বন্দ্বি দেবব্রত পাল পেয়েছেন সাত ভোট।
ক্যাটগরি ১-এ ঢাকা বিভাগে বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা থেকে পরিচালক পদে মনোনয়ন পান আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও নাজমূল আবেদীন ফাহিম। তারা দুজনই ১৫টি করে ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এই বিভাগে আরেকজন প্রার্থী ছিলেন জামালপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার এসএম আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদুয়ান। তবে শেষ মূহর্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
ক্যাটাগরি-১ থেকে রাজশাহী বিভাগে ভোট পড়েছে সাতটি। ই-ভোট দিয়েছেন ছয়জন আর একজন ভোট দিয়েছেন সরাসরি কেন্দ্রে এসে। বাকি দুজন ভোট দেননি। এখানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার মুহাম্মদ মুখলেসুর রহমান সাতটি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার দুজন প্রতিদ্বন্দ্বির একজন রাজশাহী বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার হাসিবুল আলম, যিনি ভোট বর্জন করেছেন এবং আরেকজন জয়পুরহাট জেলা ক্রীড়া সংস্থার এসএম শামস মতিন কোনো ভোট পাননি।
রংপুর বিভাগে ৯ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে আটটি। যেখানে রংপুর বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার মো. হাসানুজ্জামান পেয়েছেন সাতটি ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বি ঠাকুরগাঁও জেলা ক্রীড়া সংস্থার মো. নূর-এ-শাহদাৎ স্বজন পেয়েছেন একটি ভোট এবং আরেকজন প্রতিদ্বন্দ্বি দিনাজপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার মো. রেহাতুল ইসলাম খোকা কোনো ভোটই পাননি।
এছাড়া এনএসসি কোটায় নির্বাচিত হয়েছেন এম ইসফাক আহসান ও ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক।
বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, তিনটি ক্যাটাগরি থেকে মোট ২৩ জন পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে ক্যাটাগরি-১ (জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা) থেকে ১০ জন, ক্যাটাগরি-২ (ঢাকা ভিত্তিক ক্লাব) থেকে ১২ জন এবং ক্যাটাগরি-৩ (সাবেক ক্রিকেটার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান) থেকে নির্বাচিত হয়েছেন একজন। বাকি দুইজন এসেছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) থেকে।