আফগানদের হারিয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের
 
প্রায় ২০ বছর পর বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ মাঠে গড়ালো। ক্রিকেটের উন্মাদনায় গা ভাসাতে দেখা গেল দর্শকদেরও। গ্যালারির প্রায় পুরোটাই ভর্তি ছিল দর্শকে। আশেপাশের বাড়ির ছাদগুলো থেকেও ঢু মারছিলেন অনেকেই। অনেকদিন পরে মাঠে আসা দর্শকদের হতাশ করেনি বাংলাদেশ। আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে হারিয়েছে সিরিজ শুরু করেছে যুব টাইগাররা।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধরিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রান তুলেছিল আফগানিস্তান। জবাব দিতে নেমে ৪৬ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩১ রান তুলেছে বাংলাদেশ। এরপর আলো স্বল্পতার কারণে খেলা বন্ধ করে দেন আম্পায়াররা। বাংলাদেশ জয় পায় ৫ রানে। ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৭ বলে ১০ রান করে ফিরে যান ওপেনার জাওয়াদ আবরার। এরপর উইকেটে এসে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম।
তৃতীয় উইকেটে জুটি বেধে শুরুর সেই ধাক্কা সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার রিফাত বেগ আর কালা সিদ্দিকী এলিন। ৩০ বলে ২৬ রান করে রিফাত ফিরলে ভাঙ্গে সেই জুটি।
এরপর চতুর্থ উইকেটে রিজান হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে একশ ছাড়ানো জুটি গড়ে বাংলাদেশকে পথ দেখান কালাম সিদ্দিকী। ১৩৯ রানের এই জুটির মাঝেই সেঞ্চুরি তুলে নেন কালাম। এরপর অবশ্য বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। ১১৯ বলে ১০১ রান করে ফেরেন।
কালাম ফিরলেও রিজান ছিলেন দৃঢ়চেতা। আব্দুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ শেষ করেই মাঠ ছাড়েন তিনি। দলের প্রয়োজনে কখনো রক্ষণাত্মক খেলেছেন আবার কখনো আফগান বোলারদের শাসন করে মাঠ ছাড়া করেছেন। শেষ পর্যন্ত রিজান অপরাজিত থাকেন ৯৬ বলে ৭৫ রানে। আর আব্দুল্লাহ ১৯ বলে ১২ রানে।
আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট পেয়েছেন ওয়াহিদুল্লাহ জাদরান। একটি করে উইকেট পেয়েছেন নোরিস্তানি ওমরজাই ও জিয়াতুল্লাহ শাহিন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল আফগানরা। উদ্বোধনী জুটিতে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন দুই ওপেনার খালিদ আহমাদজাই আর ওসমান সাদাত। খালিদকে ফিরিয়ে আফগান শিবিরে প্রথম আঘাতটা হানেন পেসার ইকবাল হোসেন ইমন। এরপর দ্রুতই ওসমানকে ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ সজিব।
এরপর শুধু তৃতীয় উইকেটে ৭৯ রানের জুটি গড়তে পারে আফগানরা। ৪৬ বলে ৩৩ রান করা ফাইসাল শিনোজাদাকে ফিরিয়ে সেই জুটি আজিজুল হাকিম তামিম। এরপর বাকিরা আর সেভাবে দায়িত্ব নিতে পারেননি।
তবে ব্যতিক্রম ছিলেন উজাইরুল্লাহ নিয়াজি। বাকিদের যাওয়া-আসার ভিড়ে একপ্রান্ত আগলে রেখে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৩৭ বলে ১৪০ রান করে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন।
বাংলাদেশের হয়ে ফাইফার তুলে নেন পেসার ইকবাল হোসেন ইমন। দুটি উইকেট পান রিজান হোসেন। একটি করে উইকেট যায় আজিজুল হাকিম ও সবুজের ঝুলিতে।

 
                   স্পোর্টস ডেস্ক
                                                  স্পোর্টস ডেস্ক
               
 
 
 
