ক্যাথলিক খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, ন্যাটো রাশিয়াকে ‘বারবার বিরক্ত’ করায় ইউক্রেনে হামলা হয়ে থাকতে পারে। ইউক্রেনকে অন্য দেশগুলোর আরও অস্ত্র সরবরাহ করা উচিত কি না, তা জানেন না বলেও পোপ মন্তব্য করেছেন। খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও পলিটিকোর।

একই সঙ্গে যুদ্ধের নৃশংসতারও নিন্দা জানান পোপ। আগ্রাসনের সাফাই গাইতে গিয়ে ধর্মীয় প্রেক্ষাপট হাজির করায় রুশ অর্থোডক্স চার্চ নেতারও সমালোচনা করেন তিনি। পোপ ফ্রান্সিস বলেন, মস্কোর প্যাট্রিয়ার্ক কিরিল ‘নিজেকে পুতিনের সেবকে পরিণত করতে পারেন না।’

ইতালির দৈনিক ‘কোরিয়েরে ডেলা সেরা’ পত্রিকায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পোপ এসব মন্তব্য করেন। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আচরণকে ক্ষোভের প্রকাশ হিসেবে দেখছেন তিনি।

পোপ বলেন, ‘আমি জানি না, দেশটি কোনো ঘটনায় হামলায় প্ররোচিত হয়েছে কি না, তবে প্রতিবেশী দেশগুলোতে ন্যাটোর উপস্থিতি সম্ভবত সে সুযোগ করে দিয়েছে।’

এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার ক্রেমলিনের আর্চেঞ্জেল ক্যাথেড্রালে ধর্মীয় ভাষণে প্যাট্রিয়ার্ক কিরিল দাবি করেছেন, রাশিয়া কখনও অন্য কোনো দেশে হামলা চালায়নি। বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স তাঁকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চাই না। রাশিয়া কখনও কাউকে আক্রমণ করেনি।’

প্যাট্রিয়ার্ক কিরিল বলেন, ‘এটা বিস্ময়কর যে একটি বিশাল ও শক্তিশালী দেশ কখনও কাউকে আক্রমণ করেনি। দেশটি কেবল তার সীমান্তগুলো রক্ষা করেছে।’

ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতা বলেন, ‘আমি জানি না কী বলব— ইউক্রেনীয়দের অস্ত্র সরবরাহ সঠিক কি না, সে কথা বলা থেকে আমি অনেক দূরে আছি।’

পোপ বলেন, ‘যেটা স্পষ্ট তা হলো, এ ভূমিতে অস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে...এ জন্যই যুদ্ধগুলো হয়—আমরা যে অস্ত্রগুলো বানিয়েছি সেগুলো পরীক্ষা করতে।’

এদিকে, শান্তির আহ্বান জানাতে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে মস্কো যেতে প্রস্তুত আছেন বলে জানান পোপ। তবে, ক্রেমলিন তাঁর প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি।