পরিস্থিতি অবনতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দুষলেন আফগান প্রেসিডেন্ট
আফগানিস্তানে নিরাপত্তা পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ‘হঠাৎ’ নেওয়া সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে দায়ী করেছেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। তবে আফগান প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ছয় মাসের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর সরকারের। খবর আল জাজিরার।
তালেবান যোদ্ধারা গত কয়েকদিনে তিনটি প্রাদেশিক রাজধানীতে প্রবেশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র আগামী সেপ্টেম্বর সময়সীমার মধ্যে সেনা প্রত্যাহার শেষের পরিকল্পনা ঘোষণার পর থেকেই আফগানিস্তানে দ্রুত তালেবানের প্রভাব বাড়তে শুরু করেছে।
আফগানিস্তানের পার্লামেন্টে এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট ঘানি বলেন, ‘হঠাৎ বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কারণে বর্তমান পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেছে। গত তিন মাসে আমরা অপ্রত্যাশিত এক পরিস্থিতি দেখতে পেয়েছি।’
তবে ঘানি বলেন, ছয় মাসের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার একটি পরিকল্পনা আফগান সরকারের আছে। যুক্তরাষ্ট্র এই পরিকল্পনা সমর্থন করেছে। অবনতিশীল এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনা পর্যন্ত তালেবান শান্তির পথে হাঁটবে না।
আফগান সরকার এবং তালেবানের মধ্যে গত বছর কাতারের রাজধানী দোহায় শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু সে আলোচনায় তেমন কোনও অগ্রগতি হয়নি।
যদিও সম্প্রতি দোহায় উচ্চ পর্যায়ের আফগান প্রতিনিধিদল এবং তালেবানের মধ্যে এক সাম্প্রতিক বৈঠকে দুপক্ষ আলোচনা ত্বরান্বিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে।
আফগান প্রেসিডেন্ট বলেন, জঙ্গিরা সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেনি, বরং তারা নারী ও নাগরিক সমাজের ওপর হামলা জোরদার করেছে।
তালেবান এবং আফগান সরকারের একে অপরকে মেনে নেওয়া এবং সহিংসতার শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে এগিয়ে যাওয়ার এখনই সময়, বলেন তিনি।
তবে হামলা জোরদারের বিষয়ে ঘানির অভিযোগ তালেবান অস্বীকার করেছে। তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ টুইটারে বলেছেন, ‘যুদ্ধ ঘোষণা, অভিযোগ এবং মিথ্যাচার ঘানির সরকারকে দীর্ঘস্থায়ী করবে না। আল্লাহর ইচ্ছায় তার সময় শেষ হয়ে এসেছে।’