সিরিয়ায় মার্কিন ড্রোন হামলায় আইএসের শীর্ষ নেতা নিহত
যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোন হামলায় সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) শীর্ষ এক নেতা নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ওই হামলা হয়। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন থেকে এ কথা জানানো হয়েছে। খবর এএফপি ও রয়টার্সের।
পেন্টাগনের সেন্ট্রাল কমান্ডের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল ডেভ ইস্টবার্ন জানিয়েছেন, নিহত ওই আইএস নেতার নাম মাহের আল–আগাল। সিরিয়ার জিন্দাইরিস এলাকার কাছে মোটরসাইকেলে যাওয়ার সময় ড্রোন হামলায় মঙ্গলবার তিনি নিহত হন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ড্রোন হামলায় মাহের আল–আগালের শীর্ষস্থানীয় উপদেষ্টাদের একজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন ডেভ ইস্টবার্ন।
পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস ড্রোন হামলায় মাহের আল–আগালের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে।
এদিকে, সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছে, আলেপ্পোর অদূরে একটি মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে চালানো হামলায় এক ব্যক্তি নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। তবে হামলায় কারা হতাহত হয়েছেন তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মাহের আল–আগাল সম্পর্কে তেমন তথ্য পাওয়া যায় না। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস আগালকে এশিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে পরিচিত লেভানতে অঞ্চলে আইএসের গভর্নর বলে অভিহিত করেছে।
পাঁচ মাস আগে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের আতমে শহরে একটি অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্র। ওই অভিযানে আইএসের প্রধান আবু ইব্রাহীম আল–কুরায়শি নিহত হয়েছিলেন। তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, আবু ইব্রাহিম আল–কুরায়শির মৃত্যু বিশ্বের জন্য একটি বড় সন্ত্রাসী হুমকি দূর করেছে।
আইএস একসময় পূর্ব ইরাক থেকে পশ্চিম সিরিয়া পর্যন্ত প্রায় ৮৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখলে নিয়েছিল। কথিত ‘খেলাফত’ ঘোষণা করে এই বিস্তৃত অঞ্চলের প্রায় ৮০ লাখ অধিবাসীর ওপর আইএস তার নৃশংস ‘শাসনব্যবস্থা’ চাপিয়ে দিয়েছিল।
২০১৯ সালে আইএসকে তার দখল করা শেষ অঞ্চলটি থেকে বিতাড়িত করা হয়। কিন্তু জাতিসংঘ ধারণা করেছে, এখনো সিরিয়া ও ইরাকে ছয় থেকে ১০ হাজার আইএস যোদ্ধা রয়েছেন। তাঁরা বিভিন্ন সময় হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন।