ইরান হামলা ও ইরাক আক্রমণের মধ্যে সাদৃশ্য টানলেন বার্নি স্যান্ডার্স

মার্কিন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স এক বক্তব্যে ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও ২০০৩ সালে ইরাক আক্রমণের মধ্যে সাদৃশ্য তুলে ধরেছেন।
স্থানীয় সময় রোববার (২২ জুন) টেক্সাসের ফোর্ট ওয়ার্থে "ফাইটিং অলিগার্কি" শীর্ষক টাউন হল আলোচনায় স্যান্ডার্স বলেন, “আমরা ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটতে দিতে পারি না।”
তিনি বলেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প—দুজনেই ইরান ইস্যুতে যেভাবে বক্তব্য রেখেছেন, তা অনেকটা মিলে যায় ২০০৩ সালে ইরাক আক্রমণের আগে নেতানিয়াহু ও তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের ভাষণের সঙ্গে।
স্যান্ডার্স ২০০২ সালে কংগ্রেসে নেতানিয়াহুর একটি বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেন, “সাদ্দাম হোসেন পরমাণু অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা করছে—এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।”
তিনি এরপর বলেন, “জর্জ বুশও বলেছিলেন, ‘সাদ্দাম পরমাণু বোমা বানাতে চায়’ এবং ‘স্মোকিং গান’ বা মাশরুম ক্লাউডের মতো ধ্বংসাত্মক ইঙ্গিত আসার আগেই আঘাত হানার পক্ষে যুক্তি দেন।”
স্যান্ডার্স জোর দিয়ে বলেন, “ইরাকে কোনো গণবিধ্বংসী অস্ত্র পাওয়া যায়নি। যুদ্ধটি ছিল এক মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে। সেই মিথ্যার কারণে আমরা হারিয়েছি চার হাজার ৫০০ তরুণ মার্কিন সেনাকে, আহত হয়েছে ৩২ হাজার জন এবং ব্যয় হয়েছে ট্রিলিয়ন ডলার।”
২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছিল, ইরাক গণবিধ্বংসী অস্ত্রের মালিক, যা পরবর্তীতে প্রমাণিত হয় অসত্য হিসেবে।
এদিকে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নেতানিয়াহু ও ট্রাম্প একই ধরনের ভাষা ব্যবহার করছেন। হোয়াইট হাউস থেকে শনিবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ধ্বংস করা এবং বিশ্বের শীর্ষ সন্ত্রাস পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র থেকে আসা পারমাণবিক হুমকি বন্ধ করা।”

স্বতন্ত্র রাজনীতিক হলেও ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে কাজ করা বার্নি স্যান্ডার্স তাঁর বক্তব্যে বলেন, “ভাই ও বোনেরা, ইতিহাস যেন আবার না ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের ঘরোয়া অনেক সমস্যা রয়েছে। আমাদের অর্থ ও জনশক্তি আমেরিকাকে পুনর্গঠনে ব্যয় করা উচিত, ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য নয়।”