পরমাণু স্থাপনায় আন্তর্জাতিক নজরদারি রুখতে ইরানি পার্লামেন্টে বিল পাস

নিজেদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আন্তর্জাতিক নজরদারি সীমিত করার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিল অনুমোদন করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। এই বিল অনুযায়ী, জাতিসংঘের পারমাণবিক নজরদারি সংস্থা আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করা হবে।
তবে এই সহযোগিতা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই। আজ বুধবার (২৫ জুন) সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাঘাই ব্যাখ্যা করেন, পার্লামেন্টে অনুমোদন দেওয়া এই আইন সহযোগিতা স্থগিত করার কথা বলে, শেষ করার কথা নয়। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যে জাতি জঘন্য আগ্রাসনের শিকার হয়েছে, সেই জাতির প্রতিনিধিদের জন্য আইএইএর সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করা কি স্বাভাবিক নয়?
বাঘাই আরও বলেন, এই বিলে আইএইএর সঙ্গে ইরানের ভবিষ্যতের সম্পৃক্ততার জন্য কিছু শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইরানি বিজ্ঞানী এবং পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা ও সুরক্ষার নিশ্চয়তা। এছাড়া এটি এনপিটির (পরমাণু অস্ত্রের বিস্তার রোধ চুক্তি) অধীনে ইরানের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার আহ্বান জানায়। এনপিটি চুক্তির অধীনে পারমাণবিক অস্ত্রবিহীন রাষ্ট্রগুলো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করার প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তি বিকাশের অধিকার রাখে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র যোগ করেন, আমরা যদি এনপিটির দায়িত্বশীল সদস্য হতে চাই, তাহলে এই চুক্তির অধীনে থাকা প্রতিটি রাষ্ট্রকে যে অধিকার দেওয়া হয়েছে তা উপভোগ করতে সুযোগ দিতে হবে।

যদিও এই বিলটি আইনে পরিণত হতে ইরানের গার্ডিয়ান কাউন্সিলের অনুমোদন নিতে হবে। যদি এটি আইনে পরিণত হয়, তবে ভবিষ্যতে আইএইএকে ইরানের কোনো পারমাণবিক স্থাপনা পরিদর্শন করতে হলে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের অনুমোদন নিতে হবে।
পার্লামেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই বিল কার্যকর হলে ইরানে নজরদারি ক্যামেরা স্থাপন, পরিদর্শন ও আইএইএর কাছে প্রতিবেদন দাখিল স্থগিত করা হবে।