গাজার গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিং খুলে দেবে ইসরায়েল

যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে গাজার একমাত্র সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। বুধবার (১৫ অক্টোবর) যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে মানবিক সাহায্য পৌঁছাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খবর এএফপির।
ইসরায়েলি পাবলিক ব্রডকাস্টার (কেএএন) জানিয়েছে, দুই বছরের যুদ্ধের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় বন্দি বিনিময় চুক্তি হয়। এর আওতায় হামাস কর্তৃক মৃত জিম্মিদের দেহাবশেষ হস্তান্তর নিয়ে প্রশ্ন থাকা সত্ত্বেও ক্রসিংটি পুনরায় খোলার প্রক্রিয়া আসন্ন।
এই চুক্তির আওতায় প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে গাজায় আটক শেষ ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মি দেশে ফিরেছেন। এখন পর্যন্ত হামাস আটটি মরদেহ ফেরত দিয়েছে, যার মধ্যে সাতটি শনাক্ত করা হয়েছে। আরও ২০ জনের দেহাবশেষ গাজায় রয়ে গেছে। মরদেহগুলো দ্রুত ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর অভ্যন্তরীণ চাপ রয়েছে।
আটটি মরদেহের মধ্যে একটি (অজ্ঞাত) মরদেহ পরীক্ষার পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সেটি সাবেক জিম্মি ছিল না, যার ফলে কিছু ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ হামাসকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
তামির নিমরোদির (১৮ বছর বয়সে আটক হওয়া একজন সৈনিক) বাবা অ্যালন নিমরোদি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ভগ্নহৃদয় ও অসহ্য শোকের সঙ্গে আমরা ঘোষণা করছি, আমার বড় ও প্রিয় পুত্র তামিরের মরদেহ গাজা থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।’
ইসরায়েলের অতি-ডানপন্থি জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গভির হুমকি দিয়েছেন, হামাস যদি এই অঞ্চলে আটক সৈন্যদের দেহাবশেষ ফেরত না দেয়, তবে গাজায় সাহায্য সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
কেএএন এর মতে, বুধবার হামাস আরও চারটি মরদেহ ফেরত দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করার পর রাফাহ ক্রসিং পুনরায় খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যদিও হামাস এখনও তা নিশ্চিত করেনি।