পাঁচ বছরের জন্য কারাগারে ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট

পাঁচ বছরের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়েছে ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজিকে। নির্বাচনি প্রচারণার তহবিলে লিবিয়ার প্রয়াত স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির অর্থ ব্যবহারের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি। এ অভিযোগে তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড শুরু শুরু হয়েছে। খবর বিবিসির।
১৯৪৫ সালের পর কোনো ফরাসি সাবেক নেতাকে কারাগারে যেতে দেখা যায়নি। সারকোজেই প্রথম ফরাসি সাবেক প্রেসিডেন্ট যিনি কারাগারে গেলেন। ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট পদে থাকা ৭০ বছর বয়সী সারকোজি লা সান্তে কারাগারে তার কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন।
প্যারিসের তার ভিলা থেকে স্ত্রী কার্লা ব্রুনি-সারকোজির হাত ধরে বেরিয়ে আসার সময় ১০০ জনেরও বেশি লোক করতালি দিয়ে তাকে বিদায় জানায়। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সারকোজিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
লিবিয়ার অর্থ কেলেঙ্কারিতে তার নির্দোষিতার দাবি বজায় রেখে সারকোজি এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে একটি বার্তা দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেন, আমার কোনো সন্দেহ নেই। সত্যের জয় হবে। কিন্তু এর জন্য আমাদের কতটা কঠিন মূল্য দিতে হবে?
সারকোজি আরও বলেন, ‘আজ তারা কোনো সাবেক প্রেসিডেন্টকে আটকে রাখছেন না, তিনি আসলে একজন নির্দোষ মানুষ।’

সারকোজির আইনজীবী জানিয়েছেন, তারা মুক্তির জন্য কোনো আবেদন করেননি এবং সারকোজিকে ‘কমপক্ষে তিন সপ্তাহ বা এক মাস কারাগারে থাকতে হবে।’ সারকোজি কোনো বিশেষ সুবিধা না চাইলেও তাকে নিরাপত্তার জন্য আইসোলেশন বিভাগে রাখা হয়েছে। আইসোলেশন শাখার ছোট কক্ষে তাকে কার্যত নির্জন কারাবাসে থাকতে হবে এবং দিনে মাত্র এক ঘণ্টা ব্যায়ামের সুযোগ পাবেন।
প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সারকোজির কারাবাসকে ‘মানবিক স্তরে’ স্বাভাবিক বললেও বিচারিক সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকেন।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর সারকোজি একাধিক ফৌজদারি তদন্ত ও ঘুষ দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।