যে কারণে ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের এক পুরনো ভাষণকে ঘিরে তৈরি একটি অ্যান্টি-ট্যারিফ বিজ্ঞাপন প্রচারের কারণে তিনি ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চান।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত এপেক সম্মেলন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে কার্নি জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে ট্রাম্পের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
কার্নি বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। প্রেসিডেন্ট ওই বিজ্ঞাপন দেখে কষ্ট পেয়েছেন।’
কার্নি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার দায়িত্ব আমার। তাই ভালো-মন্দ সবকিছুই আমাদের কূটনৈতিক দায়িত্বের অংশ।’
বিজ্ঞাপনটি তৈরি করেছে কানাডার অন্টারিও প্রদেশ। এতে ১৯৮০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের একটি ভাষণের অংশ ব্যবহার করা হয়, যেখানে রিগ্যান সতর্ক করেছিলেন যে ‘ট্যারিফ বা শুল্কনীতি তীব্র বাণিজ্যযুদ্ধ ও বেকারত্ব ডেকে আনতে পারে’।
তবে ওয়াশিংটন দাবি করেছে, বিজ্ঞাপনটিতে রিগ্যানের বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে এবং এটি ট্রাম্প প্রশাসনের ট্যারিফ নীতিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা।
ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্র কানাডার সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করে। গত সপ্তাহে, বিজ্ঞাপনটি সরানো না হওয়ায় ওয়াশিংটন কানাডীয় পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়।
ট্রাম্প শুক্রবার (৩১ অক্টােবর) সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ও কার্নির সম্পর্ক ভালো, আমি তাকে পছন্দ করি। তবে তারা যা করেছে তা ভুল ছিল। তিনি ক্ষমা চেয়েছেন, কিন্তু ওই বিজ্ঞাপনটি মিথ্যা ছিল। রিগ্যান আসলে ট্যারিফকে সমর্থন করতেন, অথচ তারা উল্টোভাবে দেখিয়েছে।’
অন্টারিও সরকারের বিজ্ঞাপনটিতে রিগ্যানের মূল বক্তব্যের কয়েকটি অংশ ভিন্ন ক্রমে সাজানো হয়, যার ফলে বক্তব্যের অর্থ পাল্টে যায়।
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা বিশ্বের দীর্ঘতম স্থলসীমান্ত ভাগাভাগি করে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর দুই দেশের মধ্যে পণ্য বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৭৬১.৮ বিলিয়ন ডলার।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক