আলো ছড়াবে উপস্থাপনায় চ্যাম্পিয়ন জয়া, রানার্সআপ মামুন-অভিজিৎ, রোজা তৃতীয়
দেশের জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি আয়োজিত ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতা ‘আলো ছড়াবে উপস্থাপনায়’ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন জয়া সাহা। মমতাজ হারবাল প্রোডাক্টস নিবেদিত দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত উপস্থাপক খোঁজার এ প্রতিযোগিতায় যৌথভাবে রানার্সআপ হয়েছেন মামুন রশিদ ও অভিজিৎ রায়। আয়োজনে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন রোজা নাবিলা।
সারা দেশ থেকে তুলে আনা ৭৫ জন প্রতিযোগীর মাধ্যমে ১২টি পর্বে সাজানো ব্যতিক্রমী এই ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ১২টি পর্বের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ধারার উপস্থাপনা করতে হয়েছে মূল প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত সবাইকে। সেখান থেকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচিত হন ছয়জন প্রতিযোগী। এই প্রতিযোগীদের থেকে নির্বাচিত করা হয় সেরা তিনজনকে।
প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন জয়া সাহাকে এক লাখ, রানার্সআপ মামুন-অভিজিৎকে ৭৫ হাজার এবং তৃতীয় হওয়া রোজা লাবিলার হাতে ৫০ হাজার টাকা পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়।
বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন এনটিভির পরিচালক আলহাজ্ব মোহাম্মদ নুরউদ্দিন আহমেদ, মার্কেটিং বিভাগের প্রধান অঞ্জন কুমার কুন্ডু, মমতাজ হারবাল প্রোডাক্টসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) আব্দুস সাত্তার, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মদদ আলী বিরানী।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে শুরু হওয়া এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয় আজ শুক্রবার (৫ এপ্রিল) এনটিভির তেজগাঁও স্টুডিওতে।
আয়োজনটির পরিকল্পক ও পরিচালক কাজী মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, এনটিভি সবসময় নতুন কিছু নিয়ে কাজ করে। সেই ধারাবাহিকতায় এ অনুষ্ঠানে এবারও সেই প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। এ অনুষ্ঠান সফল করতে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে তাদেরকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে এমন অনুষ্ঠান করতে এনটিভির দর্শক ও পাঠকদের মতামত আশা করছি।
আয়োজনে প্রধান বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেরদৌস বাপ্পী ও ফারহানা নিশো। বাপ্পী-নিশো ছাড়াও প্রতি পর্বে অতিথি বিচারকের আসনেও দেখা গেছে বিভিন্ন অঙ্গনের জনপ্রিয় সব ব্যক্তিত্বদের। গ্রান্ড ফিনালে অতিথি বিচারক ছিলেন অপু বিশ্বাস। আগের পর্বগুলোতে ছিলেন কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী আবিদা সুলতানা, বর্তমান সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, সাইমন সাদিক ও মামনুন হাসান ইমন, দেশসেরা কোরিওগ্রাফার আজরা মাহমুদ, জনপ্রিয় ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব শামীম আশরাফ চৌধুরী, উপস্থাপক অনজাম মাসুদ, টকশো উপস্থাপক শবনম আজিম, সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমন, পরিচালক তানভীর আহমেদ খান, দেবাশীষ বিশ্বাসসহ অনেকে।
প্রধান বিচারক ফেরদৌস বাপ্পী বলেন, ‘দেশে এখন অনেক প্ল্যাটফর্ম, তাই কাজের সুযোগ বেশি। অনেক অনেক অনুষ্ঠান হচ্ছে, তাই উপস্থাপকের প্রয়োজনও বেশি। আবার এত প্রতিযোগিতার মধ্যে ভালো করার জন্য দক্ষতা অর্জন করতে হবে। জানতে হবে নিজের কাজ সম্পর্কে। আশা করছি, এই আয়োজনটির মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রি উপকৃত হবে।’
অপর প্রধান বিচারক ফারহানা নিশো বলেন, ‘দেশে প্রথমবারের মতো এমন আয়োজন আমরাই করছি; সে ক্ষেত্রে বেশ চ্যালেঞ্জ আছে। তবে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে রিয়েলিটি শোর জগতে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করি। আমি নিজেও উপস্থাপক। সুতরাং, এটা আমার জন্য অনেক আনন্দের। আর আমার নিজের প্রথম অডিশন আর কাজের অভিজ্ঞতাও এনটিভিতেই। তাই আলাদা দায়িত্ববোধ কাজ করছে এই আয়োজনের বিচারক হয়ে।’
এ দিন এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিযোগিতার সমাপ্তি হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা ও ঝিলিক। ইভান শাহরিয়ার সোহাগের পরিচালনায় নাচ পরিবেশন করেন হাসনাহেনা আঁখি আঁচল ও বারিশ হক।