রাতারাতি মিরপুরের উইকেট পরিবর্তন করে দিতে চান দেশি এই কিউরেটর
মিরপুরের উইকেট নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। শেরে-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম পরিচিত—বোলারদের স্বর্গ রাজ্য হিসেবে। সমর্থকরা আরেকটু বাড়িয়ে মিরপুরকে প্রায় সময়ই তুলনা করে থাকেন ধান ক্ষেতের সঙ্গে। একবার তো ডিমেরিট পয়েন্টও পেয়েছিল আইসিসি থেকে। কিউরেটর যায়, কিউরেটর আসে কিন্তু মিরপুরের উইকেট যেন বদলায় না।
দীর্ঘদিন ধরে মিরপুরের দায়িত্বে ছিলেন শ্রীলঙ্কান পিচ কিউরেটর গামিনি ডি সিলভা। তার জায়গায় নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে টনি হেমিংকে। কিন্তু তার অধীনেও পরিবর্তন দেখা যায়নি সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে। বরং কালো কুচকুচে উইকেট তৈরি করে আরও বেশি সমলোচনার জন্ম দিয়েছেন টনি হেমিং।
মিরপুরের সেই মরা উইকেটকেই রাতরাতি ব্যাটারদের জন্য আদর্শ উইকেট বানাতে চান বাংলাদেশি পিচ কিউরেটর দুলাল হোসেন। রাজশাহীর এই কিউরেটর জানিয়েছেন তার পরিকল্পনাও। যে পরিকল্পনায় অল্প সময়ের মধ্যেই মিরপুরের উইকেটকে তিনি বদলে দিতে চান। দর্শকদের কথিত ধান ক্ষেত থেকে বানাতে চান রান ফোয়াড়ার উইকেট।
দুলাল হোসেন বর্তমানে কাজ করছেন পূর্বাচলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের গড়া ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘ক্রিকেটার্স একাডেমি’-তে। ১৫ বছর ধরে মাটি নিয়ে কাজ করেন দেশি এই কিউরেটর। তিনি নির্ণয় করে ফেলেছেন মিরপুরের রোগ। তাই সমাধানটিও তার কাছে এখন সহজ।
মিরপুরের উইকেটের সমস্যা ঠিক কি? দেশের একটি গণমাধ্যমকে সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন দুলাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘মিরপুরের মাটি ড্যাম হয়ে গেছে। মাটিকে পরিবর্তন করা দরকার এখন। দেখা গেলো, ওখানে মাটি থাকার কথা দুই বছর কিন্তু রেখেছি ১০ বছর। মাটির কারণেই উইকেট খারাপ।’
এই রোগের সহজ সমাধান দিলেন দুলাল। দেশি এই পিচ কিউরেটর দায়িত্ব পেলে প্রথমেই এক ফিট মাটি তুলে ফেলতেন বলে জানালেন। আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বললেন, একশ ভাগ সঠিক পিচ উপহার দেবেন তিনি।
দুলাল বলেন, ‘একশ তে একশ উইকেট দিতে পারব আমি। দায়িত্ব পেলে প্রথমেই এক ফুট মাটি তুলে ফেলব আমি। এরপর আবার বাহির থেকে মাটি এনে নতুন উইকেট তৈরি করব আমি। উইকেট ১০০ পার্সেন্ট পরিবর্তন হবে।’
এত সহজ একটি কাজ কিন্তু বিসিবি কেনো এটি করতে পারছে না? সেই প্রশ্নের উত্তরে দুলাল জানালেন, মিরপুরের মাঠের মালিকানা বিসিবির হাতে নয়, এই মাঠের মালিক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। তাই চাইলেই অনেক কিছু করা সম্ভব হয় না।

স্পোর্টস ডেস্ক