বড় সমস্যায় পড়েছে ভারত-চীন, ওদের সাহায্য করব : ট্রাম্প

লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় ও চীনা সেনাদের মধ্যে হাতাহাতির ফলে সৃষ্টি হওয়া পরিস্থিতির ওপর শুরু থেকেই নজর রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে মার্কিন প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এ বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য রেখেছেন। এবার মুখ খুললেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প জানালেন, ভারত ও চীন দুদেশের সঙ্গেই কথা বলছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সমস্যা মেটাতে যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করবে।
ওকলাহোমায় গতকাল শনিবার নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার আগে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সামনে ট্রাম্প বলেন, ‘এটা খুবই কঠিন পরিস্থিতি। আমরা ভারতের সঙ্গে কথা বলছি। আমরা চীনের সঙ্গে কথা বলছি। ওখানে একটা বড় সমস্যা তৈরি হয়েছে। ওরা একে অন্যের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। আমরা ওদের এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করব।’ ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও দ্য ওয়াল এ খবর জানিয়েছে।
কয়েক দিন ধরেই চীন-ভারত সীমান্ত এলাকায় চলমান পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেছে ট্রাম্প প্রশাসন। সীমান্তের ঘটনার জন্য চীনকেই দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গালওয়ান উপত্যকায় ভারতের ২০ সেনা নিহত হওয়ার পর তাঁদের শ্রদ্ধা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন গোয়েন্দা দপ্তর জানিয়েছে, ভারতীয় সেনাদের হাতে চীনের ৩৫ জনের বেশি সেনা নিহত হয়েছে। যদিও চীনের পক্ষ থেকে তা স্বীকার করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছে, গোটা দুনিয়া যখন নভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছে, তখন অন্য দেশের এলাকা দখলের পরিকল্পনা করেছে চীন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি সীমান্তে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। দক্ষিণ চীন সাগরেও সেনা বাড়াচ্ছে চীন। বেআইনিভাবে এলাকা দখলের চেষ্টা করছে তারা। সমুদ্রের দিকেও তাদের নজর রয়েছে।’ গত শুক্রবার কোপেনহেগেন গণতান্ত্রিক সম্মেলনে ‘ইউরোপ ও চীনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা’ নিয়ে বলতে গিয়ে পম্পেও চীনের কমিউনিস্ট সরকারকে ‘দুর্বৃত্ত’ বলে সম্বোধন করেন।
সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কেয়লিগ ম্যাকন্যানি জানান, ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে সজাগ রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যে সমস্যা দেখা দিয়েছে, সেদিকে নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২ জুন ফোনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলে ভারতের সীমান্ত পরিস্থিতির ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প খোঁজ নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন ম্যাকন্যানি।
মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এও জানানো হয়েছে, ট্রাম্প ও মোদির মধ্যে খুবই ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তাঁরা একে অন্যকে বিশ্বাস করেন। তাই চীন যতই ভারতের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বাড়াক, যুক্তরাষ্ট্র তাদের পাশে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র কখনোই চীনকে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে দেবে না।