সুদানে কার্যকর হয়নি যুদ্ধবিরতি, লড়াই অব্যাহত
সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সুদানে যুদ্ধরত দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু সেটি উপেক্ষা করে দেশটিতে লড়াই চলছে। এর আগেও সুদানে যুদ্ধরত দুই পক্ষ—সরকারি সেনা ও বিদ্রোহ ঘোষণাকারী আধা সামরিক বাহিনী আরএসএফের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়েছে। কিন্তু তা কখনও কার্যকরী হয়নি।
গতকাল সোমবার (২২ মে) রিয়াদে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় লিখিত যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয় যুদ্ধরত দুইপক্ষের মধ্যে। তাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আগামী সাতদিন দুই পক্ষ কোনোভাবে লড়াইয়ে অংশ নেবে না। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি।
স্থানীয় মানুষ ও একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, সোমবার রাত থেকে নতুন করে লড়াই শুরু হয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে। খারতুমে একের পর এক বিমান হামলা, রকেট হামলার ঘটনা ঘটেছে। থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা গেছে। ফলে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেছে, লিখিত চুক্তিও সুদানের লড়াই থামাতে পারল না।
তিন সপ্তাহ ধরে প্রবল লড়াই চলছে সুদানে। দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে প্যারামিলিটারি আরএসএফ। তাদের কমান্ডার মোহাম্মদ হামদান দাগালোর দাবি, সেনার দুর্নীতি ও অত্যাচারের হাত থেকে সুদানকে রক্ষা করতেই একাজ করেছেন তিনি। সুদানের শাসন ক্ষমতা দখল করাই তার লক্ষ্য।
এদিন যুদ্ধবিরতির চুক্তি হওয়ার পর একটি অডিওবার্তা দিয়েছিলেন দাগালো। সেখানে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু একইসঙ্গে জানিয়েছিলেন, লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। ওই বার্তাতেই মূলত স্পষ্ট হয়ে যায়, যুদ্ধবিরতি সম্ভব নয়।
সুদানে গত তিন সপ্তাহের লড়াইয়ে কয়েকশ বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং উদ্বাস্তু হয়েছেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ। প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন তারা। জাতিসংঘ জানায়, পরিস্থিতি এমন চলতে থাকলে আরও ভয়াবহ অবস্থার মুখোমুখি হবে সুদান।