মোদি নিজে মেটালেন জুতা না পরার জেদ!
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শুধু একটিবার দেখা করার জন্য অদ্ভুত জেদ ধরেছিলেন এক যুবক। জেদের বশে জুতা পরাই ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। মোদির সঙ্গে দেখা করতে না পারলে আর কোনোদিন জুতা পরবেন না, এমনই পণ করে বসেছিলেন রাজস্থানের ভিলওয়ারা জেলার বাসিন্দা বলবন্ত কুমাওয়াত।
পণের পর দুই বছর কেটে গেছে। কিন্তু কোনোভাবেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতে পারেননি বলবন্ত। তাই দুই বছর ধরে জুতাও পরা হয়নি তাঁর।
নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করার আশায় পায়ে জুতা পরা ছেড়ে খালি পায়েই হাঁটাচলা করতে শুরু করেন বলবন্ত। জেদ ধরেছিলেন, হয় মোদির সঙ্গে দেখা করবেন, আর তা না হলে সারা জীবন খালি পায়েই চলবেন। যেমন জেদ, তেমনই কাজ। জুতা ছাড়াই দুই বছর ধরে রাস্তাঘাটে চলাফেরা করেছেন তিনি। আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী কারো হাজার অনুরোধেও কাজ হয়নি। জুতা থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে দুই বছর ধরে হাঁটাচলা করে বেড়িয়েছেন বলবন্ত।
তবে অবশেষে জেদ পূরণ হয়েছে তাঁর। মিলেছে নরেন্দ্র মোদির দেখা।
সম্প্রতি বলবন্তের সঙ্গে দেখা করেছেন স্বয়ং মোদি। বিভিন্ন মাধ্যমে বলবন্তের জুতা না পরার খবর পেয়ে মোদি নিজেই বলবন্তের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এরপরেই বলবন্তকে খবর পাঠায় স্থানীয় প্রশাসন। সেইমতো নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতে আসেন তিনি।
মোদির সাক্ষাৎ পেয়ে তাঁর সামনেই পায়ে নতুন জুতা পরেন বলবন্ত। দুই বছরের জেদ ভেঙে জুতা পরে হাঁটা শুরু করেন এই রাজস্থানি যুবক।
মোদির সঙ্গে দেখা করতে পেরে ভীষণ খুশি বলবন্ত। তিনি বলেন, ‘এতদিনে আমার স্বপ্ন সফল হলো। আমি ভীষণ খুশি যে উনি আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় দিয়েছেন।’
বলবন্তের সঙ্গে দেখা করার পর মোদি তাঁকে বলেছেন, ‘দেশের সমাজগঠনের ক্ষেত্রে এই রকম জেদ নিয়ে কাজ করুন। তাতে দেশের কল্যাণ হবে। জেদ থাকা অবশ্যই ভালো, তবে শারীরিকভাবে কষ্ট হয় এমন কোনো জেদ করবেন না।’ শরীরকে কষ্ট দিয়ে এই ধরনের কাজ যাতে তিনি ভবিষ্যতে আর না করেন সেই অনুরোধও বলবন্তের কাছে করেন নরেন্দ্র মোদি।