যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে হামাসের সাড়া
গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত প্রস্তাবের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস। তবে প্রস্তাবটি কার্যকর করতে এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে এখন ইসরায়েলের প্রতিশ্রুতি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয়ে দেখা দিয়েছে। খবর বিবিসির।
এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে হামাস ও তাদের মিত্র সংগঠন ইসলামি জিহাদ একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে তাদের ইতিবাচক প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে।
প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনাটি গত সোমবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে পাস হয়। এই প্রস্তাবে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির কথা বলা আছে, যা ক্রমান্বয়ে স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রূপ নেবে। কাতার, মিসরের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র এই আলোচনায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি তারা জানিয়েছে, হামাস এই প্রস্তাবের বিষয়ে তাদেরকেও অবস্থান জানিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১১ জুন) সন্ধ্যায় হামাস এক বিবৃতিতে গাজায় সর্বাত্মকভাবে সংঘাত অবসানের আহ্বান জানায়। হামাস ও ইসলামি জিহাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে এই সাড়া প্রদান করা হয়েছে এবং গাজায় চলতে থাকা আগ্রাসন পুরোপুরি বন্ধ করতে এতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’
বিবৃতিতে হামাস আরও জানায়, যুদ্ধ অবসানে ইতিবাচকভাবে কাজ করতে এবং একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে তারা প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, হামাস প্রস্তাবের পক্ষে সাড়া দেওয়ায় তা সহায়ক হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা সংগঠনটির অনুরোধকে মূল্যায়ন করছে।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছিলেন, তারা গাজার যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং হামাসের সাড়াদানের জন্য গোটা বিশ্ব অপেক্ষা করছে।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রাথমিকভাবে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির জন্য এই পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। এতে হামাসের হাতে থাকা কিছু জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে থাকা বেশ কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির কথাও বলা হয়েছে।
এ ছাড়া পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দ্বিতীয় পর্যায়ে হামাসের হাতে থাকা বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি গাজা থেকে সব ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহারের কথাও বলা হয়েছে ‘স্থায়ী’ যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে। তবে এই পরিকল্পনা পুরোপুরি নির্ভর করছে আলোচনার ওপর।
এ বিষয়ে ইসরায়েলের প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ এখনও জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়নি। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, এই প্রস্তাবে দেশটির যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সম্মতি রয়েছে, তবে তা সর্বসম্মত নয়।