মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহত ১০ হাজার ছাড়ানোর শঙ্কা

মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)।
গতকাল শুক্রবার (২৮ মার্চ) ইউএসজিএস ভূমিকম্পের সম্ভাব্য হতাহতের সংখ্যা নিয়ে এই ‘সতর্ক বার্তা’ দেয়। ওই সতর্ক বার্তায় ‘ব্যাপক হতাহত ও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের’ আশঙ্কা করা হয়েছে।
মিয়ানমারের সামরিক সরকার এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১ হাজার দুজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। তবে ধ্বংসস্তূপ অপসারণ ও মৃতদেহ উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকর্মীরা আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তবে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে উদ্ধার তৎপরতা কঠিন হয়ে পড়েছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার দুপুরে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সাগাইং শহরের উত্তর-পশ্চিমে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার অগভীর ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। কয়েক মিনিটের মধ্যে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরেকটি আফটারশক অনুভূত হয়।
এই শক্তিশালী ভূমিকম্পের কম্পন মিয়ানমারের প্রতিবেশী দক্ষিণ-পশ্চিম চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া ও বাংলাদেশেও অনুভূত হয়েছে। এই ছয় দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে থাইল্যান্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দেশটির রাজধানী ব্যাংককে কয়েকটি বহুতল ভবন ধসে পড়েছে। সেখানে ধ্বংসস্তূপ থেকে এখনও শতাধিক মানুষকে উদ্ধার করা যায়নি।

ভূমিকম্প বিধ্বস্ত নেইপিদো, সাগাইং, মান্দালয়, ম্যাগওয়ে, বাগো ও পূর্ব শান—এই ছয় প্রদেশ ও অঞ্চলে ইতোমধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে মিয়ানমারের সামরিক সরকার।