সন্ত্রাস ও সহিংসতা থেকে দূরে সরে যান : ফিলিস্তিনিদের প্রতি ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলি পার্লামেন্ট (নেসেট) এ ভাষণ দেওয়ার সময় গাজায় সম্প্রতি ঘোষিত যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানান। একই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি ‘সন্ত্রাস ও সহিংসতা’ থেকে চিরতরে দূরে সরে যাওয়ার জন্য কঠোরভাবে সতর্ক করে দেন। খবর এএফপির।
নেসেট সদস্যদের তুমুল হাততালির মধ্যে ট্রাম্প বলেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার ফলে সৃষ্ট দুই বছর ধরে চলা সংঘাতের পর এই যুদ্ধবিরতি সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হতে পারে।
ট্রাম্প আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের জন্য এর চেয়ে স্পষ্ট বিকল্প আর কিছু হতে পারে না, সন্ত্রাস ও সহিংসতার পথ থেকে চিরতরে সরে আসার এটাই তাদের সুযোগ।
হামাসের আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে গাজায় ৬৭ হাজার ৮৬৯ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সেখানকার শহরগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
তবে ট্রাম্পের ‘বিজয়’ ঘোষণার চাপের মুখে ইসরায়েল শুক্রবার (১০ অক্টোবর) যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় এবং সোমবার (১৩ অক্টোবর) হামাসের বাকি ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে ফিরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়।

ট্রাম্প নেসেটকে জানান, ফিলিস্তিনিদের এখন ইসরায়েলকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করার পরিবর্তে ‘তাদের জনগণকে গড়ে তোলার দিকে মনোনিবেশ করার সময়’। তিনি যুক্তি দেন, ফিলিস্তিনিদের গাজা শান্তি পরিকল্পনার পিছনে দাঁড়ানো উচিত। এই পরিকল্পনায় তিনি একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে একটি তথাকথিত ‘শান্তি বোর্ড’-এর নেতৃত্ব দেবেন।
ট্রাম্প আরও বলেন, পুনর্গঠনের জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হবে, যা মধ্যপ্রাচ্যের ধনী আরব ও মুসলিম মিত্র দেশগুলোর কাছে রয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা যদি এই কাজটা (গাজা পুনর্গঠন) করি, তবে তা ভালোভাবে করব। আর এর জন্য আমাদের কাছে অবিশ্বাস্য ক্ষমতা ও সম্পদ আছে। কারণ, সবকিছু নতুন করে তৈরি করার জন্য প্রচুর অর্থের দরকার হবে, আর বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশগুলোর কাছে এমন সম্পদ আছে যা খুব কম দেশেই দেখা যায়।’