ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বড় লক্ষ্য দিতে পারল না বাংলাদেশ
ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশের পুরোনো রোগ। একের পর এক ম্যাচে ব্যাটিংয়ের কারণে ভুগতে হয় বাংলাদেশকে। এবারও ব্যতিক্রম নয়। ব্যাটিং দুর্দশায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সুবিধা করতে পারেননি লিটন-তানজিদ-সৌম্যরা। ব্যাটিং ব্যর্থতায় স্বাগতিকদের সামনে অল্পতেই থেমে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস।
সিরিজের প্রথম ম্যাচ জেতা বাংলাদেশ আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে তুলেছে ১২৯ রান। সুতরাং ম্যাচ জিততে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে করতে হবে ১৩০ রান।
কিংসটাউনের আর্নোস ভেলে স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরুতে হতাশ করেছেন অধিনায়ক লিটন দাস। দ্বিতীয় ম্যাচে পজিশন বদলে লিটন নেমেছেন ওপেনিংয়ে। কিন্তু লাভ হয়নি। আকিল হোসেনের তৃতীয় ওভারে বল এগিয়ে গিয়ে খেলতে গিয়ে ব্যাটে পাননি লিটন। হন স্টাম্পিংয়ের শিকার! ১০ বলে ৩ রানে আউট হয়ে শুরুতেই বাংলাদেশকে হতাশ করেন অধিনায়ক।
লিটনের বিদায়ের পর উইকেটে এলেন আর গেলেন তানজিদ তামিম। দলীয় ১১ রানে তিনিও ফিরে যান সাজঘরে। জোড়া ধাক্কা সামলে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় বাংলাদেশ। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয় সৌম্য সরকারের রান আউটে। দলীয় ৩৯ রানে রান আউট হন বাঁহাতি ব্যাটার। ১৮ বলে ১১ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
এত হতাশার মাঝে আশা হয়ে ধরা দেন একাদশে ফেরা মেহেদী হাসান মিরাজ। শট হাঁকিয়ে থিতু হওয়ার আশা জাগান তিনি। তবে সেই আশাও ভেস্তে দেন আলজারি জোসেফ। ইনিংসের ১০ম ওভারে আলজারির করা শেষ বলে পুল করে ছক্কা মারতে গিয়ে স্কয়ার লেগের সীমানায় ক্যাচ দেন মিরাজ। তিন চার ও এক ছক্কায় ২৫ বলে ২৬ রানে শেষ হয় মিরাজের ইনিংস।
ক্যারিবীয়দের পরের শিকার রিশাদ হোসেন। গুডাকেশ মোটির লেগ স্টাম্পে থাকা ফুল লেংথ ডেলিভারি গায়ের জোরে লেগে খেলতে গিয়ে বিপদ বাড়ান রিশাদ। বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশি লেগ স্পিনার। ফেরার আগে করেন ৫ রান।
রিশাদের পর মেহেদি হাসানকেও একই কায়দায় বোল্ড করে মাঠছাড়া করেন মোটি। ১১ বলে ১১ রান করে ফেরেন মেহেদি।
একের পর এক উইকেট হারানো বাংলাদেশের হয়ে হাল ধরেন শামীম হোসেন। শেষ দিকে সাকিবকে নিয়ে দলের রান ১০০ পার করেন তিনি। তার অপরাজিত ৩৫ রানে ভর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে একশ ছাড়ানো লক্ষ্য দিতে পারে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৩৫ রান করতে শামীমের লেগেছে ১৭ বল। আর ১১ বলে ৯ রান করেন তানজিম সাকিব। নবম উইকেটে তাদের জুটিতে ২৩ বলে আসে ৪১ রান। এটাই সফরকারীদের সেরা জুটি।
বল হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুই উইকেট নেন মোটি। আকিল হোসেন, রোমারিও, রোস্টন চেজ ও আলজারি জোসেফ নেন সমান একটি করে উইকেট।