ভারতকে ‘প্রথম দেবদাস’ উপহার বাংলাদেশের
প্রথম সবাক বাংলা ‘দেবদাস’ ছবির একটি কপি ভারতকে উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ। ১৯৩৫ সালে নির্মিত দুর্লভ এই চলচ্চিত্রটির ডিভিডি কপি প্রাপ্তির মাধ্যমে অপূর্ণতা ঘুচল পুনে ন্যাশনাল ফিল্ম আর্কাইভ অব ইন্ডিয়ার।
গত সোমবার বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মর্তুজা আহমদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল পুনের ন্যাশনাল ফিল্ম আর্কাইভ অব ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের হাতে ‘প্রথম দেবদাস’-এর একটি কপি তুলে দেন। প্রমথেশ বড়ুয়া ওই ‘দেবদাস’ চলচ্চিত্রটির পরিচালনা করেছিলেন।
১৯১৭ সালে প্রকাশিত শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দেবদাস’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত সব ‘দেবদাস’ সিনেমার কপি পুনের ন্যাশনাল ফিল্ম আর্কাইভ অব ইন্ডিয়াতে থাকলেও প্রথম সবাক ‘দেবদাস’-এর কপি ছিল না। বাংলাদেশ ভারতকে ‘দেবদাস’-এর সেই কপি উপহার দিয়েছে।
প্রমথেশ বড়ুয়া ত্রিশের দশকে মোট তিনটি দেবদাস নির্মাণ করেন। ১৯৩৫ সালে বাংলায়, ১৯৩৬ সালে হিন্দিতে ও ১৯৩৭ সালে অসমিয়া ভাষায়। এর আগে ১৯২৮ সালে দেবদাস উপন্যাস অবলম্বনে একটি নির্বাক সিনেমাও তৈরি হয়েছিল।
প্রমথেশ বড়ুয়ার ছবিটিতে পার্বতীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন যমুনা বড়ুয়া। বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে ভারত এই ছবিটির জন্য অপেক্ষা করেছে। ভারতের প্রিন্টটি অনেক দিন আগেই নষ্ট হয়ে যায়। এত দিন এই সিনেমার একমাত্র প্রিন্ট ছিল কেবল বাংলাদেশের কাছেই।
পুনের ন্যাশনাল ফিল্ম আর্কাইভ অব ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর প্রকাশ মাগদুম বাসসকে জানান, বাকি সব ‘দেবদাস’ সিনেমার কপি রয়েছে তাঁদের কাছে। কিন্তু প্রথম সবাক ‘দেবদাস’ সিনেমার কোনো কপি ছিল না।
‘প্রথম দেবদাস’-এর বিনিময়ে দাদাসাহেব ফালকে পরিচালিত ‘রাজা হরিশচন্দ্র’ চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের হাতে তুলে দিয়েছে ভারত। এই সিনেমাটি ভারতের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন বলে মনে করে আর্কাইভ কর্তৃপক্ষ।