গাজার আরও দুটি স্কুলে ইসরায়েলের বোমা হামলা, নিহত ৩০
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার আরও দুটি স্কুলে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই হামলায় আরও ৩০ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে। আহত ও নিহতদের ৮০ শতাংশই হলো হাসান সালামা ও নাসর স্কুলের শিশু। খবর এএফপির।
ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল্লাহ আকিলা জানান, বোমা হামলায় শিশুদের শরীর টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এক ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘এখানে যখন বোমা ফেলা হয়, তখন আমরা স্কুলের ঠিক পাশে বসে ছিলাম। এ ছাড়া আরেকটি বোমা পাশের স্কুলে পড়ে। এই দুটি স্কুলে শিশুসহ বাড়িঘর হারানো সাধারণ মানুষ তাদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল।’
আব্দুল্লাহ আকিলা আরও বলেন, ‘গত কয়েক ঘণ্টা ধরে আমরা শিশুদের মৃতদেহগুলো বের করে আনছি। এটা অন্যায়। আর কতদিন এভাবে চলবে? আমরা ক্লান্ত… অনেক হয়েছে!’
ঘটনাস্থল থেকে কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিনিধি জানান, হাসান সালামা ও নাসর স্কুলে গতকাল রোববারের (৪ আগস্ট) ওই হামলার পর দেখা যায়, সেখানকার মেঝেতে রক্তের ছাপ আর ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা মৃতদেহ।
এ সময় এক ব্যক্তি বলেন, ‘তারা শিশু ও বয়স্ক লোকদের হত্যা করেছে। তারা নারীদের হত্যা করেছে। কেবল আল্লাহই আমাদের রক্ষা করবে। শিশুরা কী করেছে?’
আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘ছিন্ন ভিন্ন দেহ চারদিকে ছড়িয়ে আছে।’ আরেক নারী বলেন, ‘শপথ করে বলছি, এখানে কেবল ছোট ছোট বাচ্চা, বয়স্ক মানুষ আর মেয়েরা থাকত। এ ছাড়া আর কেউ থাকত না।’
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী অবশ্য জানিয়েছে, হামাস যোদ্ধাদের লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে, তেহরানে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়া আততায়ীর হামলায় নিহতের পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান প্রতিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ইরান সফররত জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি বলেছেন, হামাস নেতাকে হত্যা করে ইসরায়েল ‘বড় ভুল’ করেছে।