মিয়ানমার-থাইল্যান্ডে ভূমিকম্পে শত শত মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা

মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে শক্তিশালী ভূমিকম্পে শত শত মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়াও পুরো অঞ্চলজুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, এখনও সঠিক প্রাণহানির সংখ্যা জানা যায়নি, তবে এটি কয়েকশ' হতে পারে। ভূমিকম্পের প্রভাব পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতেও অনুভূত হয়েছে। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে একটি বহুতল ভবন ধসে পড়েছে এবং বহু শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছে।
একজন উদ্ধারকর্মী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছেন, মিয়ানমারের ম্যান্ডালয়ভিত্তিক উদ্ধারকারী দল এখনও সঠিক মৃতের সংখ্যা নির্ধারণ করতে পারেনি, তবে এটি ‘অন্তত কয়েকশ’ হতে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘এখনই এটুকুই বলা সম্ভব, কারণ উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে।’
আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুরে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল সাগাইং শহরের উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ১৬ কিলোমিটার (১০ মাইল) দূরে।
এদিকে, ভূমিকম্প থাইল্যান্ডেও অনুভূত হয়েছে। দেশটির রাজধানী ব্যাংককে একটি নির্মাণাধীন বহুতল ভবন ধসে পড়ার পর ৮১ জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।
মিয়ানমারের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর ছবি সামনে এসেছে, অন্যদিকে থাইল্যান্ডের ভিডিওতে একটি দুলতে থাকা ভবনের ছাদে থাকা সুইমিং পুল থেকে পানি উপচে পড়তে দেখা গেছে।
মিয়ানমারে ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটি রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে, ফলে সেখান থেকে সঠিক তথ্য পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতোংতার্ন চিনাওয়াত্রা রাজধানী ব্যাংককে ধসে পড়া ভবনের ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। সেখানে ৮১ জন শ্রমিক আটকা পড়েছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে, তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ভূমিকম্পের পর এক জরুরি বৈঠক শেষে দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান।
উদ্ধার কাজ ত্বরান্বিত করতে ঘটনাস্থলে ভারী যন্ত্রপাতি পৌঁছাতে শুরু করেছে।

থাইল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজধানী ব্যাংককের ধসে পড়া নির্মাণাধীন ভবনে নিখোঁজ শ্রমিকদের সংখ্যা ৭০ থেকে বেড়ে এখন ৮১ হয়েছে।
থাইল্যান্ডের জনস্বাস্থ্যমন্ত্রী সোমসাক থেপসুথিন বলেছেন, ভবনটি ধসে পড়ার সময় সেখানে প্রায় ৪০৯ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। উদ্ধারকারীদের দল ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।