ট্রাম্পের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে যা বলল নোবেল কমিটি

এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণার ঠিক পরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তীব্র আকাঙ্ক্ষা ও নিজেকে যোগ্য দাবি করার বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান জর্গেন ওয়াটনে ফ্রাইডনেস। ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ইচ্ছার প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে ফ্রাইডনেস স্পষ্ট জবাব দেন, কমিটির সিদ্ধান্ত কেবলমাত্র ‘আলফ্রেড নোবেলের কাজ এবং উইলের (ইচ্ছা) ওপর ভিত্তি করে’ নেওয়া হয়। খবর আলজাজিরার।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে ফ্রাইডনেস সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আমরা প্রতি বছর হাজার হাজার চিঠি পাই, যেখানে লোকেরা তাদের ধারণা অনুযায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার পথের কথা জানায়। এই কমিটি এমন একটি কক্ষে বসে, যা সকল নোবেল বিজয়ীর প্রতিকৃতিতে পূর্ণ। সেই কক্ষটি সাহস ও সততায় পরিপূর্ণ।
নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করেন, ট্রাম্পের মতো হাই-প্রোফাইল নেতার ব্যক্তিগত প্রচারণা বা চাপ তাদের সিদ্ধান্তে কোনো প্রভাব ফেলে না। সুতরাং, আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র আলফ্রেড নোবেলের কাজ এবং উইলের ওপর ভিত্তি করেই নিই, ফ্রাইডনেস মন্তব্য করেন।

এর আগে ট্রাম্প বারবার দাবি করেছেন, তিনি ‘আটটি যুদ্ধ’ বন্ধ করার কৃতিত্বের জন্য এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের যোগ্য। তবে এই বছর ভেনিজুয়েলার গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তি পুরস্কারের জন্য বেছে নেওয়ার মাধ্যমে কমিটি প্রমাণ করেছে তারা আলফ্রেড নোবেলের মৌলিক আদর্শের প্রতি অবিচল রয়েছে, যা টেকসই শান্তি, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ওপর জোর দেয়।