উত্তর গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক, কাতারে যুদ্ধবিরতির আলোচনা
গাজা শহর ও জাবালিয়ায় সাহায্যপণ্যবাহী ১৩টি ট্রাক নিরাপদে পৌঁছেছে। গত চার মাসের মধ্যে এই প্রথম কোনোরকম ঘটনা ছাড়াই পণ্যবাহী ট্রাকবহর গাজা উপত্যকার দক্ষিণ থেকে উত্তরে প্রবেশ করতে পারল। এদিকে আজ রোববার (১৭ মার্চ) থেকে কাতারে আবারও যুদ্ধবিরতির প্রশ্নে শুরু হওয়া আলোচনায় যোগ দিতে যাচ্ছে ইসরায়েলে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ প্রধানের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল। খবর আলজাজিরার।
গাজা উপত্যকার উত্তরে খাদ্যপণ্যবাহী ট্রাকবহর যখন প্রবেশ করে তখন তরুণ ফিলিস্তিনিরা আনন্দ প্রকাশ করে। ফিলিস্তিনি ফটো সাংবাদিক মোহাম্মেদ আল-হিন্দি এ ধরনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন। এতে দেখা যায় যুবক ও তরুণ ফিলিস্তিনিরা উল্লাস প্রকাশ করছে, কেউ কেউ আটার বস্তার সামনে গিয়ে জোরে শিস বাজাচ্ছিল।
আল-হিন্দি জানান শনিবার রাতে আসা এইসব সাহায্য সামগ্রী তরুণ স্বেচ্ছাসেবীর সহযোগিতায় বিতরণ করা হয়।
এদিকে আজ রোববার সকাল থেকেই কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে আবারও আলোচনা শুরু হয়েছে। আলোচনায় হামাস নতুন করে একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তুলে ধরেছে। প্রস্তাবের আলোকে ইসরায়েলি পণবন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে থাকা ১০০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তির কথা বলা হয়েছে।
প্রস্তাবে তিন ধাপের যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে যার বিস্তৃতি হবে ৪২ দিনব্যাপী। প্রথম ধাপে, গাজা সিটির উত্তর থেকে দক্ষিণে সংযোগ রক্ষাকারী আল-রশিদ এবং সালাহ-আল-দিন সড়কে থেকে সরে যাবে ইসরায়েলি বাহিনী। এর ফলে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা ফিরে আসতে পারবে এবং মানবিক সহায়তা সামগ্রী সেখানে প্রবেশ করতে পারবে।
প্রাথমিকভাবে হামাস তাদের হাতে থাকা পণবন্দিদের মধ্যে নারী, শিশু ও বয়স্ক লোকজনকে মুক্তি দেবে। এর বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের কারাগার থেকে ৭০০ থেকে ১০০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে।
দ্বিতীয় ধাপের পরিকল্পনায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে হামাসের হাতে থাকা ইসরায়েলি সৈন্যদের মুক্তির বিনিময়ে। আর তৃতীয় ধাপে রয়েছে গাজার প্রাথমিক পুনর্গঠন বিষয়ে ও উপত্যকা জুড়ে ইসরায়েলের অবরোধ তুলে নেওয়া প্রসঙ্গে।